জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ দ্বারা পরিচালিত “পরিবেশ ক্লাবের” উদ্যোগে মানচিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৯:৩০ টায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১১৩ নম্বর কক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্ব মানচিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
উক্ত প্রতিযোগিতায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১৫ ও ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে নবীন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা বেশি লক্ষ্যনীয় ছিল। এতে অর্ধ-শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মানচিত্র অঙ্কনের জন্য সময় বরাদ্দ ছিল ১ ঘন্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, পরিবেশ ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর, সদস্য বৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন “পরিবেশ ক্লাবের” কো-অর্ডিনেটর রায়হান রিয়াজ (তপু) ও উর্মি আক্তার পুতুল, সহায়ক কো-অর্ডিনেটর ফারহান আহমেদ রাফিদ ও শ্রেয়শী শিকদার। এছাড়াও ১৫ তম ব্যাচের তাহসিন সরোয়ার, মাহমুদুল হাসান নোমানসহ আরও অনেক সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, বর্তমান সময় হল প্রযুক্তির যুগ। এ যুগে সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানচিত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু হাতে আঁকা মানচিত্রের প্রয়োজন আছে। নিজ হাতে মানচিত্র অঙ্কন করলে মানচিত্র জনিত বিষয় গুলো সহজেই অনুধাবন করা যায়। মানচিত্র আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আমাদের প্রতিদিনের কার্যকলাপের জন্য মানচিত্র প্রয়োজন। আমরা আমাদের ঠিকানা, ভ্রমণের রুট, খাবারের স্থান ইত্যাদি সংরক্ষণ করতে বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্রে মানচিত্র ব্যবহার করি। মানচিত্রের ব্যবহার আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। মানচিত্র আমাদের বাড়ি বা অফিস শনাক্ত করতে, স্থানগুলির তথ্য সনাক্ত করতে এবং এমনকি নিকটতম শহর সনাক্ত করতে সাহায্য করে। তাই সকলের মানচিত্র সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পরিবেশ ক্লাবের আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ ক্লাবের উদ্যোগে মানচিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল মানচিত্র। মানচিত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীরা মানচিত্র সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী প্রথম তিন জনকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ কর্তৃক পুরষ্কৃত করা হবে।
পরিবেশ ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর রায়হান রিয়াজ (তপু) বলেন, ভূপ্রকৃতি, নদনদী, হ্রদ, পুকুর, বনভূমি, রাস্তাঘাট ও যাতায়াত ব্যবস্থা, লােকবসতি ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিষয়গুলির অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জানতে মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাছাড়া
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে অধ্যয়নের জন্য মানচিত্রের ব্যবহার অপরিহার্য। ১ম বর্ষ হতে শেষ বর্ষ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি কোর্সেই মানচিত্রের ব্যবহার রয়েছে। তাই একাডেমিক পড়াশোনায় মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি স্বরুপ পরিবেশ ক্লাবের এ আয়োজন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।